নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ |
নিউমোনিয়া (Pneumonia) ফুসফুসের প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন জাতীয় রোগ যা মূলতঃ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
নিউমোনিয়া রোগ হওয়ার কারণঃ
অপরিষ্কার পরিবেশ থাকলে এই রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়, তবে সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে নিউমোনিয়া রোগ হয়ে থাকে। যখন ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে ঢোকে এবং ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে ফুসফুসকে মারাত্নকভাবে আক্রান্ত করে ফেলে তখনই নিউমোনিয়া রোগ দেখা দেয়। এরমধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়ার নাম হচ্ছে নিউমোকক্কাস।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণঃ
• দম কমে যাওয়া বা অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা।
• কাঁপুনি, ঠান্ডা বোধ করা এবং ১০৫ ডিগ্রী বা তার বেশী মাত্রায় জ্বর আসা।
• কষ্টকর কাশি, পরে থুথুতে রক্তের ভাবও দেখা দিতে পারে
• বুকে ব্যথা হওয়া। জোরে নিশ্বাস নিলে সেই ব্যথাটা আরও বেশি লাগা।
• দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নেয়া, পালস্ বেড়ে যাওয়া বা দ্রুত হওয়া।
• নক ও ঠোঁটের রং নীল হয়ে ওঠা এবং ঘামানো
• ডায়রিয়া, মাথাব্যথা বা পেশীতে ব্যাথা হওয়া
• রোগের ঘোরে প্রলাপ বকা এবং বমি হওয়া
যাদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকেঃ
যে সমস্ত বাচ্চার বয়স ৫ বছরের কম তাদের নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশী। তবে যাদের বয়স ২ বছরের কম তারাই বেশীরভাগ সময় এই রোগে প্রভাবিত হয়ে থাকে। এছাড়াও ৬৫ বছর বা তার বেশী বয়সী লোকেরও নিউমোনিয়া রোগ দেখা দেয়। কেননা তখন কিডনি লিভার হার্ট ফুসফুস সহ দেহের আরো গুরুত্বপূর্ণ সব পার্ট্স দুর্বল হয়ে আসে এবং রোগপ্রতিরোধ খমতা কমে যায়।
নিউমোনিয়া হলে করণীয় কিঃ
২ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য নিউমোনিয়া ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তাই শিশুদের নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব হসপিটালে ভর্তি করতে হবে। প্রাপ্ত বয়ষ্কদেরও দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোটা উত্তম
নিউমোনিয়া স্থায়ীত্বকালঃ
পূর্ণ সংক্রমনের পর সাধারণত নিউমোনিয়া ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।